রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর খাবার

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর খাবার

আপনি যদি নিজেকে বিভিন্ন রকমের রোগ থেকে দূরে রাখতে চান তাহলে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটি হল আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যখন বৃদ্ধি পাবে তখন যে কোন ছোটখাটো রোগ থেকে আপনি মুক্তি পাবেন এবং একই সাথে যে কারো যে বিষয়ে অসুখের সৃষ্টি হয় সেই একই বিষয়ে আপনি মুক্তি পেয়ে যাবেন।

আর আজকের এই আর্টিকেল আলোচনা করা হবে কিভাবে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারবেন, এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার লাভ কি?

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কেন বৃদ্ধি করবেন? একটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি একেবারে স্পষ্ট হয়ে যাবে। বিষয়টা এরকম যে অনেক সময় আপনি দেখতে পারবেন একই রকমের খাবার সে খাবারটি খাবার পরে আপনি সুস্থ হয়ে গেছেন কিন্তু অপর পাশের ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে যান নি।

এ বিষয়টি হওয়ার কারণ আসলে কি? এটি হলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আদর্শ উদাহরণ। যা শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা তত বেশি থাকবে তার শরীরে রোগ বাসা বাঁধতে তত বেশি কষ্টকর হবে। অর্থাৎ ঐ রকমের খাবার একই রকমের জীবন ব্যবস্থা যেখানে একজন ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে যাবে, সেখানে যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো আছে সেই ব্যক্তি অসুস্থ হবে না।

এ সমস্ত বিষয়গুলো মাথায় রেখে আমাদেরকে রুক প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার উপায় সম্পর্কে জেনে নিতে হয়। যাতে করে আমরা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত সুস্থ থাকতে পারি।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার উপায়

বিভিন্ন ভাই আপনার শরীরে একটি স্ট্রং ইমিউন সিস্টেম গঠন করতে পারেন যাতে করে সহজেই আপনি রোগাক্রান্ত হবেন না। এর মধ্যে থেকে উল্লেখযোগ্য কিছু উপায় নিচে তুলে ধরা হলো:

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া

আপনি যদি নিয়মিত পরিসরে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারগুলো খেয়ে থাকেন তাহলে সেটি আপনার উপস্থিত ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।

হেতে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে যে সমস্ত খাবার খাওয়া যেতে পারে সেগুলো হল: লেবু, কমলা, মাল্টা, আমলকী, পেয়ারা, স্ট্রবেরি – এই ফলগুলো ভিটামিন সি-এর ভালো উৎস, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার

এছাড়াও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার যে কারো শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে। ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবারের লিস্টে যে সমস্ত খাবারগুলো রাখা যেতে পারে সেগুলো নীচে তুলে ধরা হলো:

ডিম, দুধ, পনির, মাশরুম – এই খাবারগুলো ভিটামিন ডি-এর ভালো উৎস, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

জিংক সমৃদ্ধ খাবার

এছাড়াও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার অন্যতম আরেকটি উপায় হল জিংক সমৃদ্ধ খাবার বেশি পরিমাণে সেবন করা। আপনি যদি নিয়মিত পরিসরের জিংক সমৃদ্ধ খাবার খেয়ে থাকেন তাহলে সেটি আপনার শরীরকে সুস্থ করে তুলবে।

জিংক সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে যে সমস্ত খাবার রয়েছে সেগুলো হলো: বাদাম, বীজ, শস্য, মাংস – এই খাবারগুলো জিঙ্কের ভালো উৎস, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার

এছাড়াও এন্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরিবর্তে ও আপনার শরীর সুস্থ থাকবে। প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবারের তালিকা যে সমস্ত খাবার রয়েছে সেগুলো নিচে তুলে দেয়া হলো:

এন্টি এক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার: সবুজ শাকসবজি, বেরি, আপেল, গাজর, মিষ্টি আলু – এই খাবারগুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো উৎস, যা শরীরের কোষগুলোকে ক্ষতিকর পদার্থ থেকে রক্ষা করে।

প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার: ডাল, ডিম, মাছ, মাংস – এই খাবারগুলো প্রোটিনের ভালো উৎস, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

উপরে উল্লেখিত খাবার গুলো সেবন করার মাধ্যমে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার আরো কিছু উপায়

  • রসুন: রসুনে থাকা অ্যান্টিবায়োটিক সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
  • আদা: আদাতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
  • হলুদ: হলুদে কারকিউমিন নামক একটি যৌগ থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
  • দই: দই প্রোবায়োটিকের ভালো উৎস, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

উপরে উল্লেখিত যে সমস্ত অতিরিক্ত খাবারের কথা তুলে ধরা হয়েছে এগুলো আপনার শরীরকে সুস্থ রাখবে এবং সাথে আপনার শরীরের স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখতে সহায়তা করবে৷

এজন্য নিয়মিত পরিসরে এই সমস্ত খাবার আপনার খাদ্য তালিকায় রাখা প্রয়োজন। যা খাওয়ার মাধ্যমে আপনি অন্যদের চেয়ে বেশি সুস্থ থাকবেন।

এছাড়াও আরো কিছু পরামর্শ গ্রহণ করা যেতে পারে

এছাড়া আরো কিছু অভ্যাস আপনার শরীরকে সুস্থ রাখবে এবং একই সাথে শরীরের মধ্যে যাতে রোগ বাসা না বাধে, সেটি নিশ্চয়তা দেবে। আর এই সমস্ত নিয়মিত অভ্যাস হলো:

  • প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ফল ও সবজি খান।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান।
  • মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন।

অপরে যে স্বাস্থ্যকর জীবন ব্যবস্থা কথা তুলে ধরা হয়েছে এভাবে আপনি যদি জীবনকে সাজাতে পারেন তাহলে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে এবং একই সাথে আপনি যে কোন রকমের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারবেন।

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *