এরকম অনেক পদ্ধতি রয়েছে যে সমস্ত পদ্ধতি অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনার মোবাইল ডাটা সাশ্রয় হবে। এবং এই সমস্ত পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এখানে তুলে ধরার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার ডাটা ব্যবহার করার পরিমাণ পূর্বে তুলনায় কমিয়ে ফেলতে পারবেন।
মোবাইল ডাটা সাশ্রয় করার উপায়
যখন আপনি মোবাইল ডাটা সাশ্রয় করার চিন্তাভাবনা করবেন তখন আপনাকে মোবাইল ডাটা কিভাবে সাশ্রয় করতে হয় সেই বিষয়ে আগে জানতে হবে। এবং একই সাথে কোন কোন কাজ করলে আপনার মোবাইল ডাটা পূর্বের তুলনায় আরো বেশি চলে যায় সে সম্পর্কে ধারনা অর্জন করতে হবে।
যখন আপনি পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন তখন আপনি সহজেই মোবাইল ডাটার অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার রোধ করতে পারবেন এবং মোবাইল ডাটা সাশ্রয় করতে পারবেন।
মোবাইল ডাটা সাবস্ক্রাই করার কিছু উপায় তুলে দেয়া হলো:
অ্যাপ এর ব্যাকগ্রাউন্ড ডাটা ব্যবহার সীমিত করুন
অনেক এরকম অনেক অ্যাপ রয়েছে যে সমস্ত অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে ডাটা ব্যবহার করে থাকে। এবং যতক্ষণ না, আপনি অ্যাপটির একাউন্ট ডাটা অফ না করবেন ততক্ষণ অব্দি সেটি ব্যাকগ্রাউন্ডে আপনার ডাটা ব্যবহার করতে থাকবে।
সে ক্ষেত্রে সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই যে কোন অ্যাপের জন্য ব্যাকগ্রাউন্ডে ডাটা বন্ধ করে ফেলতে হবে। এটি আপনি খুব সহজেই setting থেকে করতে পারবেন। ব্যাকগ্রাউন্ড ডাটা বন্ধ করার পদ্ধতি নিচে দেওয়া হল।
উপরে অনুযায়ী আপনি যদি কাজ করেন তাহলে যে কোন অ্যাপের ব্যাকগ্রাউন্ড ডাটা বন্ধ হয়ে যাবে। এবং যখন আপনি কোন এপের ব্যাকগ্রাউন্ড ডাটা বন্ধ করে খেলবেন তখন সেটি পূর্বের ন্যায় ডাটা খরচ করবে না। এতে করে আপনার মোবাইল ডাটা সুরক্ষিত থাকবে এবং পূর্বের তুলনায় ব্যবহার কমে যাবে।
ডেটা সেভার মোড ব্যবহার করুন
এই অপশনটি বেশিরভাগ স্মার্টফোনে বর্তমানে পাওয়া যায়। এই অপশনটা চালু করে রাখতে হবে। যখন আপনি চালু করে রাখবেন তখন ডাটা ব্যবহার করবে তুলনা কমে যাবে এবং একই সাথে এটি আপনার ডাটা সুরক্ষিত রাখবে।
সেজন্য আপনার স্মার্টফোনে যদি ডাটা সেভার মুড থাকে তাহলে সেটি সাথে সাথে ওপেন করে ফেলুন।
অটো আপডেট বন্ধ করা
কোন একটি সফটওয়্যার কিংবা সিস্টেম যখন আপডেট হবে তখন সেটি নির্দিষ্ট ডাটা ব্যবহার করার মাধ্যমে আপডেট হবে। সে ক্ষেত্রে আপনার অজান্তে বিভিন্ন রকমের সফটওয়্যার আপডেট হয়ে যাবে এবং এ সমস্ত সফটওয়্যার আপডেট হওয়ার পরিবর্তে আপনার মোবাইল মোবাইল ডাটা খরচ হবে।
সেক্ষেত্রে আপনাকে পুরোপুরি যে কাজটি করতে হবে সেটি হল আপনার ডিভাইসের জন্য যে অটোমেটিক সফটওয়্যার আপডেট হয়েছে সেটি বন্ধ করে ফেলতে হবে। এতে করে যখন আপনার কোন একটি দরকারি সফটওয়্যার আপডেট করা প্রয়োজন হবে তখন আপনি সেটি ম্যানুয়ালি আপডেট করতে পারবেন, এবং অপ্রয়োজনীয় অযাচিত সফটওয়্যার অটোমেটিক আপডেট হবে না।
অফলাইন ম্যাপ ব্যবহার করুন
যখন আপনি ম্যাপ ব্যবহার করেন তখন আপনাকে ডাটা খরচ করার মাধ্যমে সেটি করতে হয়। আর যেহেতু এটি নিত্যদিনের রুটিনের অন্যতম একটি কার্যকরী উপাদান হয়ে উঠেছে, সেজন্য আপনি চাইলে অফলাইন ম্যাপ ব্যবহার করতে পারেন।
কারণ আপনি যখন অনলাইনের মত ব্যবহার করবেন তখন আপনাকে ডাটা খরচ করতে হবে এবং তারপরে ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে গুগল ম্যাপস এপে অফলাইন ম্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনার ডাটা সুরক্ষিত করবে এবং যেকোনো সময় আপনাকে আপডেট রাখবে।
ভিডিও স্ট্রিমিং এর কোয়ালিটি কমানো
যখন আপনি কোন একটি ভিডিও দেখবেন তখন সেই ভিডিওর কোয়ালিটি তো বেশি থাকবে সেটি তত বেশি ডাটা ক্ষয় করবে৷ সেজন্য আপনি যখনই কোন একটি ভিডিও দেখবেন তখন সেই ভিডিও স্ট্রিমের কোয়ালিটি কমাতে পারেন এবং একটি কম কোয়ালিটির মধ্যে ভিডিওটি ডাউনলোড করতে পারেন।
অথবা আপনি অনলাইনের মাধ্যমে দেখেন তাহলে কম কোয়ালিটিতে এই ভিডিওটি দেখতে পারেন যাতে করে আপনার ডাটা খরচ কমে যায়। তবে সর্বোপরি চেষ্টা করবেন, যে সমস্ত ভিডিও বারবার দেখার প্রয়োজন হয় সেগুলো ডাউনলোড করে ফেলার।
ব্রাউজ করার সময় ডেটা সেভার মোড ব্যবহার করুন
বর্তমান সময়ের সমস্ত আধুনিক ব্রাউজিং সফটওয়্যার রয়েছে সে সমস্ত সফটওয়্যারের ডাটা সেভ আর মোড থাকে। ডাটা সেভার মোড ওপেন করলে, সেটি আপনার ডাটা ব্যবহার করার খরচ পূর্বের তুলনা কমিয়ে ফেলবে।
কারণ যখন আপনি কোন একটি ব্রাউজারে কিংবা ওয়েবসাইটে ভিজিট করবেন তখন সে সেটি পূর্বের তুলনা কম ডাটা খরচ করবে যাতে করে আপনার ডাটা খরচ এর পরিমাণ কমে যাবে।
অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার আনইন্সটল করুন
এছাড়ো যে সমস্ত সফটওয়্যার আপনি ব্যবহার করেন না অর্থাৎ অপ্রয়োজনে যে সমস্ত সফটওয়্যার রয়েছে যেগুলো ডাটা খরচ করতে পারে সেগুলো আপনার নির্দিষ্ট ডিভাইস থেকে ডিলেট করে ফেলার চেষ্টা করুন।
অর্থাৎ আপনি আপনার ডিভাইসকে যত বেশি ঝামেলা মুক্ত রাখতে পারবেন এবং একই সাথে যত বেশি অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার মুক্ত রাখতে পারবেন সেটি আপনার ডিভাইসকে তত বেশি ডাটা খরচ করা থেকে রক্ষা করবে।
এছাড়াও আপনি চাইলে যে কোন সফটওয়্যার এর ডাটা মনিটরিং করতে পারেন যাতে করে আপনি দেখতে পারেন কোন সফটওয়্যার কত বেশি ডাটা খরচ করেছে। এবং যে সমস্ত সফটওয়্যার বেশি ডাটা খরচ করবে সে সমস্ত সফটওয়্যার, আপনি চাইলে ফিল্টার করতে পারেন।
এবং যে সমস্ত সফটওয়্যার আপনি ব্যবহার করেন না সেগুলো রিমুভ করে ফেলতে পারেন।
বিজ্ঞাপন বন্ধ করা
যে কোন একটি কোন বিজ্ঞাপন আপনার ডিভাইস ওপেন হয় তখন সে বিজ্ঞাপন ডাটা খরচ করার মাধ্যমে হয়। কারণ আপনি যখন অফলাইনে কোন একটি কাজ করবেন তখন কোন রকমের বিজ্ঞাপন আসবে না।
সে ক্ষেত্রে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটা হলো বিজ্ঞাপন বন্ধ করতে মনোযোগ দিতে হবে। আপনার ডিভাইসের জন্য অযাচিত যে সমস্ত বিজ্ঞাপন রয়েছে সেগুলো বন্ধ করতে চান তাহলে, আপনার ডিভাইসের সেটিং অপশনে চলে যান, এবং তারপরে সার্চ করার মাধ্যমে Private DNS অপশনটি খুঁজে বের করুন।
এবং প্রাইভেট ডি এন এসে dns.adguard.com লিখে সেভ করে ফেলুন। তাহলে আপনার ডিভাইসে যে কোন রকমের বিজ্ঞাপন আসা বন্ধ হয়ে যাবে।
সোশ্যাল মিডিয়ার অটো প্লে বন্ধ করা
সোশ্যাল মিডিয়া যখন আপনি ভিজিট করেন তখন যে কোন রকমের ভিডিও অটো প্লে হয়ে যায়। এক্ষেত্রে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটি হল আপনি যে সোশ্যাল গণমাধ্যমের করছেন সেই সোসিয়াল অনুমো মাধ্যমের সেটিং থেকে অটো প্লে মিডিয়া অপশনটি অফ করে ফেলতে হবে।

যখনই আপনি অটোমে মিডিয়া অপশনটি অফ করে ফেলবেন তখন সেটি বেশি ডাটা ব্যবহার করা কমিয়ে খেলবে।
উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো পর্যালোচনা করলে এবং সেটি যদি আপনি আপনার কাজের রূপান্তরিত করেন তাহলে আপনার ডাটা ব্যবহার করার পরিমাণ পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি কমে যাবে। এবং একই সাথে আপনি আপনার মোবাইল ডাটা সুরক্ষিত রাখতে পারবেন।