মানুষের শারীরিক গঠন ভিন্ন হয়ার কারণে অনেকেই তার উচ্চতার জন্য অসন্তুষ্ট হয়ে থাকে। যার ফলস্বরূপ লম্বা হওয়ার দোয়া পড়ে বা বৈজ্ঞানিক উপায় কি করে লম্বা হওয়া যায় সেই রকম তথ্যের অনুসন্ধানে লম্বা হওয়ার দোয়া কি তা জানতে চায়।
আবার দেখা যায় কেউ কেউ ব্যায়াম করে, কেউ পুষ্টিকর খাবার খায়, আবার কেউ কেউ দোয়া ও নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে থাকে। তাই আজ আমরা আলোচনা করব “লম্বা হওয়ার দোয়া” সম্পর্কে এর ইসলামিক ভিত্তি, বৈজ্ঞানিক দিক, এবং বাস্তব করণীয় নিয়ে বিস্তারিতভাবে।
লম্বা হওয়ার দোয়া পাঠ ও কুরানের মতামত
লম্বা হওয়ার জন্য প্রার্থনা করার ক্ষেত্রে অনেকে এটা ভেবে থাকে যা করা আল্লাহ প্রতি অসন্তুষ্টি প্রকাশ। যা ইসামের একটি বর্জ্যনীয় দিক। তবে এই সম্পর্কে আল্লাহ কি বলে?
لَقَدْ خَلَقْنَا الْإِنسَانَ فِي أَحْسَنِ تَقْوِيمٍ
অর্থ; আমি মানুষকে শ্রেষ্ঠ আকারে সৃষ্টি করেছি -(সূরা আত-তীন: ৪)
এই আয়াত থেকে স্পষ্টভাবে বোঝায় যায় যে, মানুষকে যেমনভাবে আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন, তা-ই তার জন্য সর্বোত্তম। অর্থাৎ, কেউ খাটো, কেউ লম্বা এগুলো আল্লাহর প্রজ্ঞার অংশ।
তবে ইসলাম দোয়া করতে নিরুৎসাহিত করে না। বরং আল্লাহ তায়ালা অন্যতায় নিজেই বলেছেন।
ادْعُونِي أَسْتَجِبْ لَكُمْ
অর্থ; তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব (সূরা গাফির; আয়াত-৬০)
এথেকে বুঝা যায় যে লম্বা হওয়ার দোয়া পাঠ করার মাধ্যমে আল্লাহ কাছে লম্বা হওয়ার জন্য প্রার্থনা করা যাবে।
লম্বা হওয়ার দোয়া
লম্বা হওয়ার দোয়া সম্পর্কে কুরআন ও সহি-হদিসে এরকম নির্দিষ্ট কোনো দোয়া নেই। তবে কিছু আয়াত ও দোয়া পাঠ করায় আল্লাহর সন্তুষ্ট লাভের মাধ্যে ফজিলত রয়েছে যা লম্বা হয়ার ক্ষেত্রে কার্যকর।
দোয়া;-১
رَبِّ زِدْنِي قُوَّةً وَعِلْمًا وَصِحَّةً
উচ্চারণ: রব্বি যিদনি কু্ওয়াতান ওয়া ইলমান ওয়া সিহহাতান।
অর্থ: “হে আমার প্রভু! আমাকে শক্তি, জ্ঞান ও সুস্বাস্থ্য বৃদ্ধি করে দাও।”
দোয়া;-২
اللَّهُمَّ قَوِّ جِسْمِي وَنَوِّرْ قَلْبِي وَبَارِكْ فِي رِزْقِي
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ক্বাওয়ি জিসমি, নাওয়ির ক্বালবি, ওয়া বারিক ফি রিযকি।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমার দেহকে শক্তিশালী কর, আমার হৃদয়কে আলোকিত কর এবং আমার রিজিকে বরকত দাও।
কুরআনের এই আয়াত পড়ার মাধ্যমে আল্লাহ কাছে দোয়া করলে আল্লাহ বান্দার সুস্থতার সাথে মনোইচ্ছা পূরন করেন।
দোয়া করার আদব ও নিয়ম
দোয়া করার পূর্বে কয়েক বিষযয়াদি মনে রাখা জরুরি যেমন; নিয়ত সঠিক রাখা অর্থাৎ আপনার দোয়া যেন অহংকার বা সৌন্দর্য প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে না হয়। বরং এটি যেন নিজের আত্মবিশ্বাস, স্বাস্থ্য ও উন্নতির জন্য হয়।
এবং সর্বদা এটা বিশ্বাস করা যে, ফলাফল আল্লাহর হাতে, আমরা শুধু চেষ্টা ও দোয়া করব, ফল যা আসবে তাহা আমাদের জন্য উত্তম বলে মনে করা।
দোয়া কুবল এর আরেকটি বড় কাজ হলো নিয়মিত নামাজ ও কুরআন তিলাওয়াত করা। কারণ দোয়া ও নামাজ একে অপরের পরিপূরক এতে কোনো সন্দেহ নেই। তাই দোয়া কবুল এর স্রেষ্ঠ জায়গা নামাজ।
আপনি নিয়মিত নামাজ আদায়ে আল্লাহ কাছে লম্বা হওয়ার দোয়া পাঠ করার মাধ্যমে প্রার্থনায় আপনার মনের ইচ্ছে প্রকাশ করার সর্বোত্তম সময়, যাহার মধ্যে ফজিলত বিদ্যমান থাকে।
আরো জানুন: দোয়া কুনুত এর ফজিলত ও তার অর্থ


